
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মালিথাপাড়ার গ্রাম্য রাস্তাগুলো কাঁদা পনিতে ছয়লাব হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করে চলছে। অথচ এসব রাস্তা সংস্কারের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা দীর্ঘদিন ধরে। বর্ষা মৌসুমে এসব রাস্তার পাশের মানুষের এ করুন অবস্থা দেখার কেউ আছে বলে মনে হয়না।
এসব রাস্তার মধ্যে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মালিথাপাড়ার মানুষের চলাচলের এ সড়কের কাঁচা রাস্তার একেবারে বেহাল দশা। এই সড়কে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলাচলের এসব সড়ক বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। কৃষি ফসল ধান, পাট মাথায় করে ছুটতে হয় বাজারের দিকে। বাচ্চারা সময় মতো স্কুলে যেতে পারে না। স্কুলে কমে যায় উপস্থিতির। অসুস্থ্য রোগীকে সময় মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
অপরদিকে মালিথাপাড়ার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কে শুষ্ক মওসুমেও চলাচলের অনুপোযোগী থাকে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই পায়ে হেটে যাতয়াত করেন।
আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালিথাপাড়ার নাজির মালিথার বাড়ি হতে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রনির বাড়ির সামনে চিত্র । ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারকে রাস্তাটির কথা বলা হলে সে বলে আমি ১৮০ফিট এলজিএস পির কাজ পেয়েছি । আমি কাজটা এখান থেকেই শুরু করতে চাচ্ছি কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এটা মানতে চাচ্ছে না। যেখানে বেশি কাঁদা সেখান থেকেই কাজটি শুরু হোক প্রয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান সরজমিনে এসে রাস্তা দেখে যাক। যেখানে জনগণের যাতায়াতের সমস্যা সেখানেই ১৮০ ফিট কাজ হবে কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বাধা দিচ্ছে বলছে শুরু থেকে হবে কিন্তু যেখানে কাদা সেখানে উনি করতে দেবেন না এ নিয়ে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার এর মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।