
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহাম্মেদ ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় তলার তালাবদ্ধ রুম থেকে কলেজ পিওনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার রাত ১০ টার দিকে চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত মনিরুল ইসলাম চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত নিয়াদ আলীর ছেলে। তিনি বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহাম্মেদ ডিগ্রি কলেজে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত কলেজ পিয়ন মনিরুল পারিবারিক ভাবে অশান্তিতে ছিলো। প্রায়ই পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো সে তার কাছের মানুষদের কাছে আক্ষেপ করে জানাতো। সোমবার কলেজ ছুটির পর মনিরুল বাড়িতে না ফিরলে তার ছেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে কলেজে গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলা ভিতর থেকে আটকানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে উপরে উঠার লোহার সিঁড়ির সাথে তার বাবার গলায় ফাঁশ লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহাম্মেদ ডিগ্রি কলেজের পিয়নের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।