
নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধারাবাহিক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের রেমিকো ফার্মা নামক অবৈধ ভেটেনারি তৈরীর ভুয়া ঔযধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হয়। এ অভিযানে অনুমোদিত ভেটেরিনারি ওষুধ তৈরীর কারখানা সিলগালা ও একই সাথে কারখানার মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার দুপুরে উপজেলার শহরের ঝাউতলা মোড়ে অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, রেমিকো ফার্মা হেলথ ডিভিশনের মালিক পশু চিকিৎসক রাজীব মজুমদার। তিনি জেলার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের মৃত দাসরত মজুমদারের ছেলে। রাজীব মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে ঝাউতলায় রেমিকো ফার্মা হেলথ ডিভিশন নামে একটি অননুমোদিত কারখানাটি পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভেটেরিনারি ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করে আসছিলেন।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরের পরে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রেমিকো ফার্মা হেলথ ডিভিশন নামে ওই ভেটেরিনারি ওষুধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কুমারখালী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী ও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজীবুল ইসলাম খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাজীব মজুমদার রেমিকো ফার্মা নামের অনুমোদিত এই কারখানাটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল দিয়ে নোংরা পরিবেশে শ্রমিকদের দ্বারা এসব ভেটেরিনারি ওষুধ তৈরি করে আসছিল। এ সময় আমার সাথে খুলনা বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।তিনি আরো বলেন,বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এ অভিযানে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরির আলামত দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে রেমিটপ পাউডার, রেমিজেন্ট, এনজাইম পাউডার, হান্ডেড এ আই, জিংকোভেট। এছাড়াও গবাদি পশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এই কারখানাটিতে পাওয়া যায়। এ সময় রেমিকো ফার্মা এসব মেডিসিন উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতের জন্য ওষুধ বিভাগের কোনো নিবন্ধন দেখাতে পারেনি। ফলে এসব অপরাধ আমলে নিয়ে রেমিকো ফার্মাকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-৫১ ধারায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তৈরি ও বিক্রির দায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং কারখানাটি সিলগালা করে দেন।
এছাড়াও কারখানাটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলে জানান কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিবুল ইসলাম খান।