
চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ১১ ও খোকসা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে কুমারখালী উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়নের ১২৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং খোকসা উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৭৮ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলার সকল পর্যায়ের লোকজন উৎসবের আমেজে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে আগমন করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে ভোট কেন্দ্র ও এর আশেপাশের এলাকার আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখা। জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল পুলিশ সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, আনসারসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে সুসমন্বয়ের মাধ্যমে এই নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম সকাল থেকে নিজেই ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের ৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে মোবাইল পার্টি, স্ট্রাইকিং পার্টি, ডিবির স্পেশাল টিম টহল দিতে থাকেন। এছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাব-ইন্সপেক্টর এর নেতৃত্বে ৫ জন পুলিশ সদস্য অত্যন্ত দক্ষতার সহিত আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল সদস্য নিজেরা নিরপেক্ষ থেকে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখিয়ে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ায় পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম সকল পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সকল এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ ফরহাদ হোসেন খান, মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোঃ ইয়াসির আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স), ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরবৃন্দ এবং পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্স।