
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি অর্ধেকের বেশি রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে।সে জন্য অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সবোর্চ্চ চেষ্টা চলছে। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ৫০টি সিলিন্ডার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, ৩টি ওয়ার্ডে করোনা বেডের সংখ্যা ১০০টি। রবিবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে ভর্তি আছেন ১২২ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ রোগী ৯৫ জন। বাকি ২৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার-রবিবার) ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন রোগী। তিনটি ওয়ার্ড রোগীতে টইটম্বুর। বেড ছাড়িয়ে মেঝেতে ভর্তি আছে অনেক রোগী। করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অর্ধেক রোগীর ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে ৩৪৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ১২০টি সিলিন্ডার রিফিল করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থাকা ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে ২ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। করোনাকালে এটিই জেলায় এক দিনে সবোর্চ্চ মৃত্যু।
এ দিকে রবিবার ২০ শে জুন জেলা প্রশাসকের দেওয়া তথ্য অনুসারে,রবিবার জেলায় ৮৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।একই সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে বেশি।সদরে ৩৮ জন।কুমারখালী ও ভেড়ামারা উপজেলায় ০৮ জন।দৌলতপুরে ০৫ জন।মিরপুরে ১৪ জন। খোকসায় ১০ জন।
এ দিকে করোনা ওয়ার্ডে গত ৪০০ দিনের অধিক সময় ধরে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের একঝাঁক কর্মী। নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে রোগীদের কাছে গিয়ে অক্সিজেন নিয়ে ছোটাছুটি করছে এবং অন্যান্য সেবা দিচ্ছেন তারা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, ‘সোমবারের মধ্যে করোনা ডেডিকেটেট ঘোষণা করা হবে। উপজেলা থেকে ১০ জন চিকিৎসককে জেনারেল হাসপাতালে আনা হচ্ছে। ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের শহরের দুটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।’বিধিনিষেধ চলার পরও করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। রোগী হু হু করে বাড়ছে। এটা অশনিসংকেত রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।