
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- সুমন, মুনসাদ, দেলসাদ ও শাজাহান। বর্তমানে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান কালিতলা বাজারে লোকমান ডাক্তারের ওষুধের দোকানের সামনে আহতরা বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় পাশের দোকানদার আকমল হঠাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর কালিতলা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সুরুজ, সিরাজুল, কামাল, তাকসার,গোলজার, সুজন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮জন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুমন, মুনসাদ, দেলসাদ ও শাজাহান সহ আরো উপস্থিত বেশ কয়েক জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত চারজনকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হসপিটালে জরুরি বিভাগে এনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জসিম চেয়ারম্যান ও সুজন নিয়োগ বাণিজ্য ও স্কুলের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করে ৩৩ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে। যার কারণে এলাকাবাসী আর তাদের স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে দেখতে চায় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে নতুন করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসাবে মতিয়ার সাহেবকে নির্বাচিত করা হয়েছে। মতিয়ার স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে। বিষয়টিকে ভালো চোখে না দেখতে পেরে জসিম চেয়ারম্যান ও সুজনের নেতৃত্বে সুরুজ বাহিনীর লোকজন বর্তমান সভাপতি মতিউর এর ভাই, ভাস্তের উপর হামলা চালিয়েছে। অন্যায় ভাবে এই হামলার বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা।
বিষয়টি নিয়ে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি যদি স্কুলের সভাপতি হতে চাইতাম তাহলে প্রধান শিক্ষকের বাপের ক্ষমতা ছিল না যে আমাকে বাদ দেবে।” আমি নিজে থেকেই হতে চাই নি। এলাকার সবাই আমার লোক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম বলেই অনেকেই প্রাণে বেঁচে গেছে। না হলে আরো দশ পনেরোটা লাশ ওখানে পড়ে থাকতো ওখানে।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।