কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে দুই ছাত্রলীগ কর্মী ও করোনা স্বেচ্ছাসেবককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মী।
সোমবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগের দুই কর্মীর নাম সম্রাট ও হৃদয়।
জানা যায়, দুর্বৃত্তদের কোন আত্মীয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করানো ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ৪ জুলাই দুর্বৃত্তরা করোনা ওয়ার্ডে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা প্রদান করে। এই সময় ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে তাদের বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে দুর্বৃত্তরা ৫ জুলাই রাত সাড়ে দশটার দিকে জেনারেল হাসপাতালের সামনে ওৎ পেতে থাকে। ছাত্রলীগের দুই কর্মী হাসপাতালের বাইরে আসলে তাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে করোনা রোগীদের বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। এই সময় তাদের উপরে যারা হামলা করেছে তারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো।
করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবায় গত দেড় বছর ধরে কাজ করে চলেছেন ছাত্রলীগের একঝাঁক তরুণ কর্মী। তাদের কেউ অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে আবার কেউ রোগীর সার্বিক সেবায় নিয়োজিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালটির ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি এভাবেই করোনা রোগীদের পাশে রয়েছেন তারা। করোনার এ সময়ে যখন হাসপাতালগুলো নিজেদের জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে কুষ্টিয়ার এ হাসপাতালটিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের এমন সেবামূলক কাজ দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। পাশাপাশি ছাত্রলীগের এসব কর্মীরা বিভিন্ন মহলের প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন। জীবন বাজি রেখে তারা রোগীদের ওষুধ কেনায় সহায়তা, অক্সিজেন সরবরাহ, রোগীর নাকে অক্সিজেনের নল লাগানোসহ নানা কাজে নিরলসভাবে সহযোগিতা করছেন।