
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা, কায়িক পরিশ্রম এবং নগরে তাজা শবজির যোগান নিশ্চিত করনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহনের অনুরোধার্থে গত ৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন দিপ্তানিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আফরোজা সুলতানা এবং কার্যকারি সদস্য দীপ্ত আহমেদ ও হিরা বাচ্চু। উক্ত সভায় আন্তরিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে গভীর মনযোগ ও দীর্ঘ সময় ধরে মেয়র মহদয় অসংক্রামক রোগ বিষযয়ক বক্তব্য শ্রবণ করেন এবং সুপারিশ পত্র গ্রহণ করেন।
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে করনীয় বিষয়ক উক্ত মতবিনিময় সভায় নানা তথ্য তুলে ধরে নারী নেত্রী আফরোজা সুলতানা বলেন যে, জনস্বাস্থ বিষয়ক অনুসন্ধান ও গবেষনায় দেখা গেছে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশেও রোগের পার্দুভাবে পরিবর্তন ঘটছে। দেখা যাচ্ছে, সংক্রামক রোগের পরিবর্তে দীর্ঘস্থায়ী অসংক্রামক রোগ যেমনঃ হৃদরোগ,ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিপাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, হৃদরোগ, স্নায়ূতন্ত্রের রোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগগুলোই দেশে এখন মৃত্যুর প্রধান কারন।
দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া নগরায়ন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থকর জীবনযাত্রা, অস্বাস্থকর খাদ্য গ্রহনের অভ্যাস; শরীর চর্চা, ব্যায়াম বা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব; অনিয়ন্ত্রিত মাদক সেবন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশ দূষন অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারন।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সবজি এবং ফল উৎপাদনকারী দেশ হওয়া সত্বেও এদেশের মানুষের মাঝে ফল ও সবজি কম গ্রহনের প্রবনতা অসংক্রামক রোগের পার্দুভাবের আরেকটি বিশেষ কারন।
অসংক্রামক রোগের পার্দুভাবের কারনসমুহ চিহ্নিতকরণ এবং তা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা সুপারিশ আকারে মেয়র মহদয় বরাবর তুলে ধরা হয় উক্ত সভায়।
সুপারিশ সমুহঃ
১৷ নগরে শাক সবজি যোগান বাড়াতে নগর কৃষি গাইডলাইন প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন করা। যা স্বল্পমূল্যে নগরবাসিদের প্রয়োজনীয় তাজা সবজির যোগান নিশ্চিত করবে।
২. বিপনন এবং বিতরনের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র/ভ্রাম্যমান বিক্রেতাদের সহযোগীতা প্রদানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব প্রদান।
৩৷ শাকসবজি পরিবহন, মজুত ও বিপননকারীদের ব্যবসায়িক লাইসেন্স ফি হ্রাসকরন।
৪. স্থানীয় সরকার বাজেটে খেলার জন্য বাজেট বরাদ্দ করা।
৫। শিক্ষা প্রতিষ্টানে ভর্তি বা অষ্টম শ্রেণী পাশে সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানোর দক্ষতা থাকা বধ্যতামুলক করা।
৬। মার্শাল আর্ট শেখানোর জন্য বিনা মুল্যে জায়গা বরাদ্দ করা।
৭। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা চাকুরীর ক্ষেত্রে খেলাধুলা, কায়িক পরিশ্রম, সামাজিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততাকে মুল্যায়নের ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য যে, এই সকল নীতিমালাসমুহ সুপারিশ আকারে আরো প্রদান করা হয় জেল কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডঃ হায়াত মাহমুদ; জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি জনাব সেলিম এবং জেলা শিক্ষা অফিসার, কুষ্টিযা জনাব মোঃ জায়েদুর রহমান বরাবর