
কুষ্টিয়া পু্লিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং শেষে পু্লিশ সুপারের স্থান ত্যাগের পর যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন এক নারী সাংবাদিকের উপর হামলা করে। এসময় কেপিসির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রথম সারির মুলধারার সাংবাদিকরা ঐ নারী সাংবাদিককে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। এ সময় লালন ঐ সাংবাদিক নেতাদের উপরও চড়াও হয়।
পুলিশের মধ্যস্থতায় নিবৃত হয়ে পু্লিশ লাইন থেকে বেরিয়ে লালন মাস্কপরা ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত কে নিয়ে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকে। ঐ নারী সাংবাদিক তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আবার রাস্তার গতিরোধ করে। নারী সাংবাদিকের আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এবং পথচারীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দীর্ঘ শুনানী অন্তে আজ কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইয়ের পু্লিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা নং ৪৬/২১।
কুষ্টিয়ায় নারী সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: কুষ্টিয়া পু্লিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য, উইমেন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি,কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, নিউনেশন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আফরোজা আক্তার ডিউ এর উপর হামলা হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন(কেইউজে)-এর নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন,বর্তমান সময়ের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একজন নারীনেত্রী আফরোজা আক্তার ডিউ। তার উপর সাংবাদিক নামধারী মাহাতাবউদ্দিন লালন অতর্কিত হামলা করে। হামলার পর বিএনপি- জামায়াতপন্থী কতিপয় সাংবাদিক নারী সাংবাদিকের পক্ষ না নিয়ে উল্টো হামলাকারীর পক্ষ নিয়ে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ চরিতার্থ করছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের দোসর মাহাতাব উদ্দিন লালনসহ তার সসহযোগীদের বিরুদ্ধে এই পেশা বহির্ভূত, সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবিলম্বে হামলাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সেই সাথে নারী সাংবাদিকতার কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জোর দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন- সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্রনাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা।