ঢাকাMonday , 14 June 2021
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আজকের ভিডিও খবর
  5. উপজেলার খবর
  6. কুষ্টিয়া
  7. খেলাধুলা
  8. চুয়াডাঙ্গা
  9. জেলার খবর
  10. টপ নিউজ
  11. পর্যটন
  12. প্রবাসীদের খবর
  13. ফিচার
  14. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ায় পুলিশের এএসআই এর গুলিতে শিশুসহ নিহত তিন জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন

Link Copied!

কুষ্টিয়ায় পুলিশের এএসআই এর গুলিতে নিহত আসমা খাতুন, শিশু ছেলে রবিন ও প্রেমিক শাকিল খানের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত তিন জনের মরদেহ রোববার রাত ১২টার পর স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

শাকিলের মরদেহ তার বাবা মেজবা রহমান এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের মরদেহ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ আসর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় বাদ জহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম জানান, কুমারখালী থানায় এএসআই সৌমেন মিত্র চাকরি করাকালীন তাদের সাথে পরিচয় হয়। সেসময় সৌমেন তার নাম বলে মো. সুমন হোসেন এবং সুমন নামেই মুসলিম বিধান মতে তার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। এবং বিয়ের পর থেকেই কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়া একটি ভাড়া বাসায় তার মেয়েকে রাখে সৌমেন।

 

এদিকে গতকাল শিশু রবিনকে গুলি করে হত্যা করার পর সৌমেন মিত্র গণরোষ থেকে বাঁচতে কলাপসিবল গেটের ওপাশে গিয়ে হাত নেড়ে নেড়ে বিজয় উল্লাস করতে থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী মানিক শেখ জানান।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে আসামি সৌমেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পেশকার এম এ আলীম।

আদালতের একটি সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সৌমেন জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার জন্য তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে শিশু রবিনকে হত্যা করা ঠিক হয়নি স্বীকার করে, এ ঘটনায় অনুতপ্ত বলে আদালতকে জানান সৌমেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে আটকের পর চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত এএসআই সৌমেনকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের ডিবি কার্যালয়ে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, পরকীয়ার জেরে কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে স্ত্রী, সৎ ছেলে ও এক বিকাশকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় রোববার রাতে মামলার হয়েছে। এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে নিহত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৩০২ ধারায় হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩৯। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (তদন্ত) নিশি কান্ত।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।