
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে সাধারন জনগনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলার এসপি মোঃ খাইরুল আলম। শুক্রবার (১৯ মার্চ) জুমার নামাজের পূর্বে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে আগত মুসুল্লীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এ সময় এসপি খাইরুল আলম বলেন,মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন হতে হবে।নিয়ম মেনে মাস্ক পরে সবাইকে মাস্ক ব্যাবহারের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।মসজিদ,মন্দির শপিং মল, দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা ও বিভিন্ন সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানে সেবা দাতা এবং সেবা গ্রহীতাকে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে।মাস্ক পরাকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে।তাহলেই আমরা করোনাকে কমিয়ে সহনশীল মাত্রায় রেখে আমাদের জীবন যাত্রাকে পরিচালিত করতে পারবো।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বীতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।এ সময় আমাদের সবাইকে নিজেদের স্বাস্থ্যর প্রতি বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে যাতে আমরা অসচেতনতার কারনে কেউ করোনায় আক্রান্ত না হই।এ মহামারীর হাত থেকে আমাদের নিজেদের রক্ষা করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের প্রতিও বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।তাই সবাই স্বাস্থবিধি মেনে দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করুন।
এসপি খাইরুল আলম বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী ২১ মার্চ থেকে ‘মাস্ক পরার অভ্যাস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’ শ্লোগানে দেশব্যাপী উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করবে। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার সকল থানা সহ সারা দেশের সকল থানায় উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের এক বছর পার হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল উদ্যোগ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং দেশের জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা করোনা মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছি। করোনা মোকাবেলায় যে ৮টি দেশ সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম। আবার, করোনার টিকা পাওয়া ২২টি দেশের তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। করোনারি টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। আমাদের দেশের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার সাথে সাথে করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এসপি খাইরুল আলম বলেন, আমরা আকস্মিকভাবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছি। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদেরকে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা করতে হবে। আবার, দেশের অর্থনীতিও সচল রাখতে হবে। আমরা চাই না, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ অসুস্থ হোক অথবা কারো মৃত্যু হোক। এজন্য করোনা মোকাবেলায় প্রত্যেককে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে ভুলে না যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ জানান