
: রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব:
১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদের নামাজে সিজদারত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গোলাম কিবরিয়া এমপিকে। ঐ বছরেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খাঁনকে মথুরাপুর হাটের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে বিকেল বেলায় গুলি করে হত্যা করে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপিরবারে গুলি করে হত্যা করে।
আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেই কি এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে?
কুষ্টিয়ায় ঈদের দিনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিককে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। গুলি না ফুটলে তার মাথায় এলোপাথাড়ি হামলা করে।
সিসিফুটেজে দেখা যায়, এক সময় বিএনপির চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনী এখন ছাত্রলীগে প্রবেশ করে এই হামলা চালায়। ক’দিন আগে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদেরও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। সেলাই লেগেছে অনেকগুলো। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিকেরও মাথায় আক্রমন। সেলাই পড়েছে ৪টি। হামলার লক্ষ্যবস্তু এক ও অভিন্ন। তাহলে ঐ হামলাকারীদের সাথে এই হাসলাকারীদের যোগসূত্র রয়েছে?
সাবেক ছাত্রদল ক্যাডারদের এই হামলার পেছনে শক্তি যোগাচ্ছে কে? কাদের ইন্ধনে, আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রদল ক্যাডার বাহিনী?
বিএনপি জামায়াত পরিবারের সন্তানদের ছাত্রলীগ থেকে বের করে না দিলে এমন গুপ্ত ও প্রকাশ্য হামলা অব্যাহত থাকবে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ধারনা।