ঢাকাThursday , 23 September 2021
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আজকের ভিডিও খবর
  5. উপজেলার খবর
  6. কুষ্টিয়া
  7. খেলাধুলা
  8. চুয়াডাঙ্গা
  9. জেলার খবর
  10. টপ নিউজ
  11. পর্যটন
  12. প্রবাসীদের খবর
  13. ফিচার
  14. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্তাবধায়কসহ ৩জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Link Copied!

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় বিভিন্ন ধরণের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট (চিকিৎসা সরঞ্জামাদি) ক্রয়ে সরকারী ক্রয়নীতি লংঘনসহ পরস্পর যোগসাজসে সরকারী টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক তত্তাবধায়ক, ঠিকাদার ও মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক মেরামত সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১০লক্ষ ৩৫হাজার ৯শ ৭০টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সজেকা কুষ্টিয়া।

 

 

বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটায় কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের এর আদালতে দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকার উপ-সহকারী পরিচালক মো শহিদুর রহমানের দেয়া এজাহারটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে আগামী সপ্তাহে শুনানীসহ আদেশের দিনধার্য করেন।

 

 

দুদকের করা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীগণ হলেন- চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা মৃত আহাম্মদ আলী মল্লিকের ছেলে ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (অবসরপ্রাপ্ত) তত্তাবধায়ক ডা: আবু হাসানুজ্জামান, আশুলিয়া নিশ্চিতপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত: মওলানা কেরামত আলীর ছেলে এবং ঢাকা মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য দপ্তরের সাবেক এ্যাসিষ্ট্যান্ট রিপিয়ার এন্ড ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে মো: জাহেদুল ইসলাম।

 

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় বিভিন্ন ধরণের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট বা চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারী ক্রয়নীতি লংঘন ও পারষ্পরিক যোগসাজসে আর্থিক সুবিধা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে ৯টি খাতের অনুকুলে বাজারমূল্যের কয়েকগুন বেশী মূল্যধার্য পূর্বক সরকারের অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য সেবা খাতে কর্মরত কর্মকর্তা হিসেবে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫টি বিল ভাওচার দাখিল করে বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। যা দ:বি: ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

 

 

 

সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সজেকা কুষ্টিয়ার কৌশুলী এ্যাড আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সব মামলাই চুড়ান্ত ভাবে আদালতে দাখিলের পূর্বে খুব বিচক্ষনতার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন এবং শুধুমাত্র যেসব ক্ষেত্রে সত্যতা আছে বলে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয় সেগুলিই মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আগামী সপ্তাহে যে আদেশ দেন সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকতারা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।