
কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন,খোকসা থানা এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।সবাই এক সাথে কাজ করলে এ এলাকাকে মাদক,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাস ছিনতাই মুক্ত করে এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।আমরা প্রত্যকে প্রত্যকের মঙ্গল কামনা করবো।আমরা সাদাকে সাদা বলবো,কালোকে কালো বলবো।নিজেরা মাদক মুক্ত হয়ে সমাজকে মাদক মুক্ত করবো।যে উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে সে উদ্দেশ্যকে সমুন্নত রেখে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার সকাল ১১টায় কুষ্টিয়ার খোকসা থানার বার্ষিক পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন,মনে রাখতে হবে আমরা বিদেশী নই, আমরা দেশী পুলিশ,জনগনের পুলিশ।তাই জনগনের স্বার্থে আমাদের কাজ করতে হবে।মানুষের আস্থা অর্জনে আমাদের কাজ করতে হবে।নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রেখে শৃংখলা মেনে কাজ করতে হবে।বিট অফিসাররা নিজ নিজ বিটের সাধারন জনগনের সাথে মিশে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করুন।প্রত্যককে সাথে নিয়ে সমান ভাবে গুরুত্বদিয়ে কাজ করতে হবে।প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে।তাই আমরা সমাজের প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবো।

খোকসা থানার বার্ষিক পরিদর্শন
এর আগে খোকসা থানায় পৌছলে এসপি খাইরুল আলমকে খোকসা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়।পরে তিনি স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব মেনে সালামী গ্রহণ ও সামামী প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং থানার গুরুত্বপূর্ন রেজিস্ট্রারপত্র পর্যালোচনা, অফিসার ফোর্সদের দৈনিন্দন কার্যক্রম পর্যবেক্ষন, মালখানা ও হাজত খানা, সরকারী অস্ত্রগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। দাপ্তরিক কর্মবন্টন সুষম, সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি যথাযথ সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত, সরকারী সকল সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংক্ষণ, পুলিশের লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এছাড়াও থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক পরিদর্শন, থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের গুনগত সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মোঃ আতিকুল ইসলাম,খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ,খোকসা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।