মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার (৪৮) গলিত লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গোলাম মোস্তফা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের মৃত মির্জন বিশ্বাসের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে তার লাশ কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া বাজারের আমজাদ আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে গােলাম মােস্তফার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাংনীর বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী মনোমালিন্য করে তার সংসার ছেড়ে চলে যায়। সে কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। গত শনিবার সে গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিল। রবিবার থেকে তার মােবাইলফােন খােলা থাকলেও রিসিভ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তার রুমের মধ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। এবং রুমের ভিতর থেকে ছিটকিন দেয়া ছিল।
বাসার মালিক আমজাদ হোসেন দুর্গন্ধের বিষয়টি পুলিশ খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘরে দরজা ভেঙে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে। সে ব্রেইন স্টোকে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে।
ভোমরদ গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গফর জানান, কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সে কুষ্টিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। কয়েকদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে আশেপাশের লোক জানতে পারে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।