ঢাকাSunday , 13 June 2021
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আজকের ভিডিও খবর
  5. উপজেলার খবর
  6. কুষ্টিয়া
  7. খেলাধুলা
  8. চুয়াডাঙ্গা
  9. জেলার খবর
  10. টপ নিউজ
  11. পর্যটন
  12. প্রবাসীদের খবর
  13. ফিচার
  14. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ায় শিশুসহ তিনজনকেই দুটি করে গুলি করে এএসআই সৌমেন

Link Copied!

কুষ্টিয়ায় শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে
স্ত্রী,সন্তান ও এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার পরে তাঁদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তিনজনকেই দুটি করে গুলি করে হত্যা করা বলে

 

 

রোববার রাত ৭ টার সময় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলোর ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক এ কথা জানান।

 

জানায়ায় বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তিনটি লাশের ময়নাতদন্ত করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার।

 

 

তাপস কুমার সরকার বলেন, তিনজনকে দুটি করে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথায় কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।তবে একজনেরও গুলি পাওয়া যায়নি।

 

 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রথমে শাকিল খানের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাঁর মাথার বাম পাশে গুলি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এরপর আসমা খাতুনের ময়নাতদন্ত করা হয়। আসমার মাথা ও গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।

 

 

সবশেষে শিশু রবিনের (৬) ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিনের মাথায় ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কারও গুলিই পাওয়া যায়নি। গুলিগুলো শরীর ভেদ করে বাইরে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রবিনকে দৌড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে পিঠে গুলি করা হয়। এরপর পড়ে গেলে তার মাথায় গুলি করা হয়।

 

 

পিস্তলসহ আটকৃত পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় এর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে। তিনি ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিল।

 

 

এ দিকে কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।

 

কুষ্টিয়া পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনা ফুলতলা থানায় যোগ দেন।

 

 

এ দিকে শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে মামলার এজাহার লিখছিলেন।

 

 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম কে ফোন দিলে মুঠো ফোন তিনি রিসিভ করেন নি।

রাত সাড়ে আটার সময় কুষ্টিয়া মডেল থানার ফোন করলে ডিউটি অফিসার জানান এখনো মামলা এনট্রি হয়নি কারন পুরা ঘটনা আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনার তদন্তের শেষে জানাতে পারবে। তাছাড়া আমি এই মাত্রই আসলাম এখন কিছু বলতে পারছিনা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।