
নিজস্ব প্রতিনিধি : দুই ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের বাজার পাড়ার আনারুল ইসলাম পাইলট এর ছেলে সুমন (৩৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব । শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, গত ৪ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখ বিকেলে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার জগতি এলাকার দুই ভাই মনিরুল (২৪) ও মাসুম (২০) কে অপহরন করে দুবর্ৃৃত্তরা। পরদিন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কোদালকাটি মাঠের একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতদের মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় গ্রেফতারকৃত সুমনকে প্রধান আসামি সহ সাতজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৫/০১/২০০৭, ধারা ৩৬৪/৩০২/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০, জিআর নং-০৩/০৭। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ মে আদালতে আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই জন আসামি আসাদুল ও মিনাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সুমন সহ অপর তিন আসামি জামিন হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিল। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১১.০০ ঘটিকায় আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার ১নং পলাতক আসামি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের বাজার পাড়ার আনারুল ইসলাম পাইলট এর ছেলে সুমন (৩৯) কে কে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায় এ হত্যা মামলার বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে র্যাব জানায় ।