
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মুঞ্জিয়ারা খাতুন ডলি (২৮) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধু একই ইউনিয়নের শিতলাইপাড়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের স্ত্রী এবং আলাউদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোনাইকান্দি মাঠের মধ্যে একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধু ডলির লাশ ঝুলতে দেখে দৌলতপুর থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। তবে এলাকাবাসীর ধারণা সুদের ব্যবসার কারনে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তাকে হত্যা করে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের বিকাশ নম্বরে মোটা অংকের টাকা ছিল। মোবাইল ফোনটি না পাওয়ার কারণে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, ১৫ মে রোববার মঞ্জিরা খাতুন মায়ের বাড়ি বেড়াতে যান। বিকালে খাওয়াদাওয়া করে রওয়ানা হোন সুমন খানের যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেখানে। এরপর থেকেই নিখোঁজ মঞ্জিরা।
জানা গেছে, রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শিতলাইপাড়া গ্রামের মিনহাজের স্ত্রী মঞ্জিরা কাজ করতেন দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও ঠিকাদার ছাদেকুজ্জামান খান সুমনের মাস্টারপাড়ার বাসভবনে। থাকতেনও সেখানে।
তবে এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।