
হত্যার মুল কারণ অনুসন্ধান ও ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবী
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. আ. কা. ম. সারওয়ার জাহাদ বাদশাহর ফুফাতো ভাই, কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক, পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাসিনুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে রোববার দুপুরে পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইছাহক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. আ. কা. ম. সারওয়ার জাহাদ বাদশাহ। বক্তব্য রাখেন, ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরদার আতিয়ার রহমান আতিক, পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাষ্টার, আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দীন প্রমুখ। এ সময় উপজেলা ও ফিলিপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হাসিনুর রহমান একজন সৎ আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি পল্লী বিদ্যুত সমিতির পরিচালক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। সদা হাস্যজ্জল একজন মানুষকে নির্মমভাবে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা খুবই বেদনাদায়ক। বক্তারা বলেন, হাসিনুর রহমান একজন আওয়ামীলীগের নেতাই ছিলেন না, তিনি বর্তমান সাংসদের ফুফাতো ভাই। তাই এ হত্যাকান্ডটিকে সাধারন ভাবে দেখলে হবে না। কি উদ্দেশে একজন সাংসদের ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং এর পেছনে উন্ধনদাতা কারা রয়েছেন তাও বের করা দরকার। অতি দ্রæত এ হত্যার তদন্ত শেষ করে ঘাতক ও ইন্ধনদাতাদের শাস্তির দাবী জানান আলোচনা সভার বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে নদীর ধারে হাটার সময় মজিবর বয়াতি তার উপর আচমকা হামলা করে হাসিনুর রহমানকে হত্যা করে। পরে পুলিশ মজিবুর রহমানকে আটক করলেও এ ঘটনার কারণ ও এর পেছনের উন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি পিবিআই এর তদন্তাধীন রয়েছে।