
পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙতে ভাঙতে রায়টা মহিষকুন্ডি বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ ও বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একেবারে কাছে চলে এসেছে। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়ার দাবিতে হাজারো জনতা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলে ।
পদ্মা নদীর পাড়ে শুরু হওয়া প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী এ মানববন্ধনে ‘ভিক্ষা নয় অধিকার চাই, নদী ভাঙ্গা রোধ চাই। সোনার মাটি সোনার দেশ, নদী ভেঙ্গে হলো শেষ’ দাবি আদায়ের শ্লোগান সম্বলিত নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী, এলাকার নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।
নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির আহŸায়ক হাজি মোঃ আতর আলী ফরাজি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে, মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম, সমাজ সেবক উজ্জল সর্দারসহ স্থানীয় শিক্ষক সুধীজন ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর অকাল ভাঙ্গনে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার শত শত একর ফসলি জমি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িঘর কয়েকবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরো শত শত বসতবাড়ি ও বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।
মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, নদী ভাঙনের কারণে এলাকার মানুষের পথে বসার অবস্থা হয়েছে। প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে এদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।
ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলেছে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি তোলেন তিনি। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে বালির বস্তা ফেলার দাবি তোলেন।
৭৫ কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আঃকাঃম সরওয়ার জাহান বাদশাহ এমপি বলেন, ওই এলাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বালির বস্তা ফেলা হয়েছে এবং একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি পাশ করানোর জন্য তদবিরও করা হচ্ছে। এটি পাশ হলে স্থায়ী একটা সমাধান হয়ে যাবে।