
কুষ্টিয়ায় বিশ্ব বিধবংসী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় যোগদানের প্রথম দিন থেকেই পুলিশ সুপার খাইরুল আলম মাস্ক হাতে শহরের বিভিন্ন সড়কে পথচারী, পরিবহনের যাত্রী ও রাস্তার পাশের বাড়ি বাড়ি নিজ হাতে মাস্ক বিতরন করেন। কঠোর লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকেই তিনি হাতে মাইক নিয়ে ছুটছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। আবিস্কার করেছেন শহরের প্রবেশ মুখের ৭টি পয়েন্ট। সেখানে পুলিশের সার্বক্ষনিক কঠোর পাহারা বসিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি শহরে একাধিকবার জনসচেতনতার জন্য জেলা পুলিশের র্যালী ও নিজ হাতে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। বর্তমানে রাত পোহালেই তিনি জেলা পুলিশের টিম নিয়ে করোনা প্রতিরোধে নিজেই মাঠে নামছেন। পুলিশ সুপারের প্রতিদিন একাধিকবার মাঠে নামার কারনে দিনে দিনে মানুষ সচেতন হচ্ছে। প্রথম দিকে শহরে যে পরিমান মানুষের, গণপরিবহনের চলাচল ছিলো তা এখন নেই বললেই চলে। রুগী পরিবহন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় ছাড়া কোন মানুষকে বাইরে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপার যে এলাকায় যাচ্ছেন সেই এলাকা যেন অঘোষিত কারফিউ পরিণত হচ্ছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের প্রবেশমুখ হরিপুর সেতু উত্তর দিকের চেক পোষ্ট পরিদর্শন, ছয় রাস্তার মোড় সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন এবং জনসচেতনতামূলক নিজ হাতে মাইক নিয়ে প্রচারনা চালান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত পু্লশি সুপার (সার্কেল) আতিকুল ইসলাম, মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম।