মেহেরপুরের গাংনীতে প্রেম সম্পর্কের জের ধরে চাচা নাহিদ (২৫) তার ভাতিজী সোনালী খাতুন(১৫)কে নিয়ে ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।গত সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যার দিকে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
কলেজ পড়–য়া ছাত্র নাহিদ উপজেলার চর গোয়াল গ্রামের ফুটবলমাঠ পাড়ার জজ আলীর ছেলে ও স্কুল ছাত্রী সোনালি খাতুন (১৫)একই স্কুল পাড়ার প্রবাসী মিলন হোসেনের মেয়ে।ছেলের মা হাওয়াতন নেছা বলেন,আমাদের গোপন করে অজান্তে ছেলে নাহিদ বিয়ে করেছে। বিয়ের প্রমাণ চাইলে সাংবাদিকদের কাছে বিয়ের কাবিন নামা তুলে দেন ছেলের মা।
এব্যাপারে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ পড়ুয়া নাহিদ জানান,আমার আর সোনালীর মধ্যে তিন বছরের সম্পর্ক ছিলো।আমরা দু’জন কুষ্টিয়া মিরপুরের কাজি অফিসে উপস্থিত হয়ে গত ৮/০৯/২১ তারিখে বিয়ে করি।চাকুরী নেওয়ার সুবাদে আমাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম।আমাদের বিয়ের বিষয়টি সোনালীর মাকে জানালেও সোনালীর মা আবরো গত শুক্রবার (১৭সেপ্টেম্বর) সোনালীর আপন ফুপাতো ভাই প্রবাসী সবুজের সাথে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে দেয়।এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি, সোনালী।সোনালী আমাকে বাড়ী থেকে নিয়ে চলে এসেছে।
এব্যাপারে সোনালীর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি নাহিদকে দীর্ঘদিন ধরে ভালবাসি, তাকে কুষ্টিয়ার মিরপুর কাজি অফিসে বিয়ে করি।আমাদের বিয়ের বিষয়টি আমার মাকে জানালে আমার মা জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে আমার আগের স্বামী নাহিদের কাছে চলে এসেছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নাহিদ ও সোনালীর মধ্যে কয়েক বছরের সম্পর্ক রয়েছে।গত শুক্রবার(১৭সেপ্টেম্বর) সোনালীর আপন ফুপাতো ভাইয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে।এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি,নাহিদ ও সোনালী।
এব্যাপারে সোনালীর মা লায়লা আক্তার বলেন, নাহিদ ও সোনালীর বিয়ের বিষয়টি আমাকে বলেনি। আমার জানা নেই।আমি আমার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছি। নাহিদ আমার অবুঝ মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্নালঙ্কার সহ তাকে অপহরণ করেছে। এখন নাহিদ মিথ্যা বিয়ের কাবিন করে আমার মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলছে।
এঘটনায় আমার শ্বাশুড়ী লতিফন নেছা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অপহরণের (মামলার) অভিযোগ করেছে। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।
বর্তমানে দু’জনের অজানার উদ্দ্যেশ্যে পাড়ি দিয়েছে।সোনালীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,নাহিদ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সোনালিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।সোনালী বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় স্বর্নালঙ্কার ও নগদটাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।