করোনা মহামারি অধিক সময় জনবিচ্ছিন্ন ছিল কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়ি । করোনা প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হওয়া ফকির লালন সাঁইয়ের এ আখড়াবাড়ি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয় লালন একাডেমি। স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে সীমিত আকারে চালু হওয়ায় এখন সরগরম আখড়াবাড়ি ।
এ আখড়াবাড়িতে যেতে হলে এখন বাউল-ফকির, ভক্ত, দর্শনার্থী সবাইকে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন গেট খুলবে সকাল ৯টা, আর সন্ধ্যায় বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও লালন ভক্ত আর দর্শনার্থীদের মানতে হবে আরো কিছু শর্ত।
কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণ-পূর্বে, কুমারখালী উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে ছেঁউড়িয়া গ্রামে মরা কালীগঙ্গা নদীর তীরে লালন শাহ’র আখড়াবাড়ি। কুমারখালী উপজেলার মধ্যে অবস্থিত হলেও এটি কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে। মরা নদীর বিশাল অংশ ভরাট করে মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে খোলা মঞ্চও।
বছরের দুটি বড় অনুষ্ঠান লালনের তিরোধান দিবস এবং দৌল উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা চলে এখানে। সে সময় সাধু-ভক্তদের পাশাপাশি বাউল সম্রাটের টানে ছুটে আসে লাখো পর্যটকের দল। মাজার থেকে বেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন লালনের আবক্ষমূর্তি।
ছেউড়িয়ায় লালনের আখড়ার অবস্থান। বাউল সম্রাট লালনকে সমাহিত করা হয় ছেঁউড়িয়ার মাটিতেই। তার মৃত্যুর পর শিষ্যরা এখানেই গড়ে তোলে মাজার বা স্থানীয়দের ভাষায় লালনের আখড়া। বিশাল গম্বুজে তার সমাধি ঘিরে সারি সারি শিষ্যের কবর রয়েছে। এ মাজারটি বাউলদের তীর্থস্থান। মাজার থেকে কিছু দূরে রয়েছে একটি ফটক। এ ফটক দিয়েই মাজারে প্রবেশ করতে হয়।
আরোও দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে