ঢাকাMonday , 4 January 2021
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আজকের ভিডিও খবর
  5. উপজেলার খবর
  6. কুষ্টিয়া
  7. খেলাধুলা
  8. চুয়াডাঙ্গা
  9. জেলার খবর
  10. টপ নিউজ
  11. পর্যটন
  12. প্রবাসীদের খবর
  13. ফিচার
  14. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যালী-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Link Copied!

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া পৌর সভার বিজয় উল্লাস চত্বরে সমাবেশ থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে থানামোড় বকচত্বরে জেলা ছাত্রলীগ নেতা মীর রিসানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাসদের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা হাজি গোলাম মহাসিন, সাবেক ছাত্রনেতা শ্রী অসিত কুমার সিংহরায়, কারশেদ আলম, মাহাবুব হাসান, আক্তার হোসেন প্রমুখ।

 

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ৪ঠা জানুয়ারী ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক মুসলিম হলে ততকালীন পুর্ব পাকিস্থানের বাঙালি ছাত্রসমাজের দাবি/অধিকার প্রতিষ্ঠার চিন্তাথেকেই বৈষ্যমের বিপরিতে দাড়িয়ে ছাত্রনেতা নইমদ্দীন কে আহবায়ক করে ৭ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই কমিটির সদস্য ছিলেন জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমান,বাঙালি জাতির আত্মবিকাশ ও মর্যাদাশীল জাতি গঠনই ছিল তাদের লক্ষ্য।পাকিস্থানী শাসন শোষনের বিরুদ্ধে ৫২ সালে ভাষা আন্দোলন,৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বিজয়,৬২ শিক্ষা আন্দোলন,৬৪ সালে হিন্দু মুসলিম ডাঙ্গার ঠেকানো, ৬৬ সালের ৬ দফার পক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।১৯৬২ ততকালীন ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান,আব্দুর রাজ্জাক,কাজী আরেফ আহামেদ এর নেতৃত্তে¡ ছাত্রলীগের অভ্যন্তের বাঙালি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ননিয়ে গড়েউঠে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস।বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যেই পাকিস্থানিদের সাথে বাঙালির বিরোধ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেদেয় ছাত্রলীগ,জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্ত দন্দোকে কাজে লাগিয়ে,বাঙালি স্বপ্ন দেখতে থাকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে নিজেদের কে আত্মপ্রকাশ করতে।পাকিস্থীনিদের অত্যাচার আর বৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি ছাত্র শ্রমিক জনতার আন্দোলন লেজে গবর মাখাতে স্বক্ষম হয় ছাত্রলীগ নিউক্লিয়াস।১৯৬৯ গনঅভ্যাথ্নের মাধ্যে শেখ মজিব সহ আগোড়তলা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্যহয় পাকিস্থানিরা, শেখ মজিব কে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভোষিত করে ছাত্রলীগ।৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামিলীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক কাজ করেন ছাত্রলীগ,পাকিস্থানীরা ক্ষমতা না দেওয়ায় ছাত্রলীগ সশস্ত্র ভাবে নিজেদের কে প্রস্তুত করেন।নিউক্লিয়াসের নেতৃত্তে¡ ১৯৭১ সালে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন,৩ মার্চ স্বাধীনতার ইস্তেহার পাটকরেন,আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি,আমাদের জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্বাচন করেন বাঙালী দুইহাত উত্তোলন করে সমর্থ করেন,পল্টোন ময়দানে লক্ষ জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু উপস্থিতে,বঙ্গবন্ধু গাড়ীতে স্বাধীন বাঙলার পতাকা বেধেদেওয়া হয়,৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনে ছাত্রলীগের ব্যাপক ভুমিকা ছিল,শেষ পরিনতি শুরুহয় মুক্তিযোদ্ধ এবং দাদা ভাই সিরাজুল আলম খান ৬২ সালে এই চিন্তাই করেছিলেন,নিউক্লিয়াস বুঁকেপিটে ধারন করত,সমাজতান্ত্রিকএকটি শোষন মুক্তসমাজ, অসা¤প্রদায়িক দেশ।পরাধিনতার হাতথেকে মুক্তিপেলেও স্বাধীন দেশের প্রশাসন সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হলোনা,একদলীয় শাসন শোষন, দলবাজী, লুটপাট, মজুদদারী মহাজনী,বিলাক সবকিছু সিমাহীন ভাবে চলতে লাগলো,ছাত্রলীগ এর বিপোরিতে বঙ্গবন্ধুর সাথে অনেক পরামর্শ করেও কোন সমাধান না হওয়ায়,সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্তে¡ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র পতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সাহিত্য সংস্কৃতির শিল্প বিকাশের একমাত্র পথ হিসাবে তিনি চিন্তা করেন একটি সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বিকল্প নেই।লুটেরাদের রুখতে হলে আবারও একটি সংগ্রাম একটি লড়াই প্রয়োজন এই কাজটি করতে একটি সংগঠিত সুশৃংখল পাটির দরকার উপলদ্ধির জাইগা থেকেই প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গঠন করেন ১৯৭২ সালে ৩১ অক্টবর। ২ ভাগ হয় ছাত্রলীগ,বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,আর একটি হয় মজিববাদী ছাত্রলীগ,৭২টু ৭৫ সংগ্রাম করতে যেয়ে জাসদ -ছাত্রলীগ মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মি জিবন হারায়। জিয়ার অবৈধ্য ক্ষমতা দখলের বিপরিতে জাসদের নেতা কর্ণেল তাহের সহ প্রায় ২৫০০ হাজার জাসদের সমর্থক জিবন দেয়,এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম করতে জাসদের নেতা ডাঃ মিলন,শাহাজান সিরাজ সহ ২০০ নেতা কর্মি প্রান হারান।স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার আন্দোলন,সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস ও চরম্পন্থী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে প্রান হারিয়েছে নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা নেতা জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহামেদ,শহীদ মারফত আলী,শহীদ লোকমান হোসেন শহীদ ইয়াকুব আলী সহ প্রায় হাজার খানেক নেতা প্রায় সব মুক্তিযোদ্ধা। পৃথিবীর ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি যা ইতিহাসের পাতা লিখা থাকবে

 

অনন্তকাল,ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দাড়িয়ে আবারও একটি সংগ্রামের আহবান জানান,একদেশে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু কর,সা¤প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থা ও রাজনীতি নিষিধ্য কর,করোনা কালীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বেতন মৌকুফ কর,নিয়মিত ছাত্রদের ক্লাস চালু কর। লুটপাট,দলবাজ,বাজর সিন্ডিকেট ভোটছিনতাই কারীদের বিরুদ্ধে রুখেদাও।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।