
নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনার বিল ৫শ টাকার বেশি আসবেনা। সাথে টেলিফোন লাইন ফ্রী। রাউডার আমরাই দিব। শুধু আপনার ভোটার আইডি কার্ট দিলেই হবে। এই বলে ১২০০ টাকা নিয়ে যান। নতুন সংযোগ দিয়ে গেলেও বিল কপি অফিসে দিতেন না তারা। এমন একজন গ্রাহক প্রথম কয়েক মাস বিল না দিলেও গ্রাহকের অফিস পরিবর্তনের পর সংযোগ স্থানান্তর করতে গেলে তিনি জানতে পারেন বিগত ৫ মাসের বিল প্রায় ৬ হাজার টাকার মত এসছে। যার ফলে ৫০০ টাকায় পাবলিক লাইন ব্যবহার করতে থাকেন সেই গ্রাহক। বিটিসিএল কুষ্টিয়া শাখায় জানানোর পর লাইন বন্ধ করতে বললেও প্রায় দেড় মাস পরে এসে সংযোগ স্থানান্তর করে দেন তারা। তবে সেই গ্রাহকের কন্ডিশন ছিল শুধু টেলিফোন লাইন ব্যবহার করবেন তিনি। অথচ টেলিফোন নাম্বারে মোট বকেয়া ১৫৪৫৯ বাকি দেখিয়ে সরাসরি মামলার হুমকী দিয়ে নোটিশ করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিলিমিটেড (বিটিসিএল)’র কুষ্টিয়া শাখার কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক (রাজস্ব) সাইদুর রহমান। বিটিসিএল’র গ্রহকদের সময়মত বিল প্রদান না করেই সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি পত্র তাদের নিকট পৌছে দেয়া হয়। সেখানে ২০ আগস্টের মধ্যে বিল পরিশোধ না করতে পারলে ফৌজদারী দন্ডবিধির ৩৬৮(১)(ক) ধারা উলে্যখ করে রিতীমত হুমকি দেয়া হয়েছে বলে গ্রহকেরা জানান। ভুক্তভোগীরা জানান, গত এক বছর আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিটিসিএল’র ইন্টারনেট লাইন নেয়ার জন্য কয়েকজন মার্কেটিং এর কাজ করতে থাকে। তারা সংযোগ নেয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবিসহ এক হাজার টাকা নেয়। সেসময় তারা প্রথম তিনমাস নয়’শ টাকা বিল প্রদান করতে হবে এবং তিনমাস পর থেকে পাঁচ’শ টাকা করে বিল নেয়া হবে বলে মটিভেট করতে থাকে। কিন্তু সংযোগ দেয়ার পর থেকে ব্যববহারকারির নিকট মাসিক বিল পৌছে দিতেননা দায়িত্বরত কর্মী। এভাবেই কারো সাত হাজার কারো দশ হাজার টাকা বিল বকেয়া বলে বিল প্রদানের তারিখ উলে্যখ করে একটি নোটিশ প্রদান করেন সাইদুর রহমান। যেখানে বাংলাদেশের সকল বেসরকারী ইন্টারনেট সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান পাঁচ’শ টাকা করে নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া (বিটিসিএল)’র কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক (রাজস্ব) সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ,ভুল হয়েছে বলে অবহেলা হয়েছে বিল পৌছে দেয়া উচিৎ ছিলো। এখন কিছু করার নেই । কিস্তি করে বিল শোধ দিতে হবে।