কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরে সাদিয়া ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির ব্যাপক রক্তক্ষরণ জনিত কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার রাতে পথিমধ্যে ঐ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। প্রসূতির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাদিয়া ক্লিনিক প্রাঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ভেড়ামারা থানা ও এরাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের ফারুক হোসেন’র গর্ভবতী স্ত্রী নাসিমা খাতুন (২৫) কে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য মধ্য বাজারের সাদিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। নাসিমা খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন একটি কন্যা সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে সিজারিয়ান অপারেশন চলাবস্থায় অত্যাধিক রক্তপাত শুরু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু সংঘটিত হয়। প্রসূতির অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ সবাই সাদিয়া ক্লিনিক অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাসিমা খাতুন’র সিজারিয়ান অপারেশন পরিচালনাকারী ডাক্তার ও সাদিয়া ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডাঃ আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে অত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছেন মূলতঃ আলট্রা সনোগ্রাফির রিপোর্ট ভুল থাকার কারনে অপারেশনে প্রসূতির স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তপাত শুরু হলে নিজ দায়িত্বে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি। আলট্রা সনোগ্রাফি রিপোর্টে যেখানে ফুল থাকার কথা, বাস্তবিক অবস্থায় সেই ফুলের অবস্থান অনেক নিচে থাকায় দুঃখজনক এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে মৃত প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত মৃত্যুর প্রকৃত কারন উন্মোচিত হবে।