
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে ভাসমান যুবকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের বর্ণনা শুনে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নেছার আহমেদ তার ছেলে বলে দাবি করেছেন। মরদেহ শনাক্ত করতে তাদের পরিবারের সদস্যদের আসার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
ভেড়ামারা থানা পুলিশের সহায়তায় ইশ্বরদির লক্ষ্মীপুর নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে।
ভেড়ামারা থানার উপ-পরিদর্শক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চর গোলাপনগরের ভাঙাপাড়ার কাছে পদ্মা নদীতে মরদেহটি ভেসে থাকতে দেখা যায়। মরদেহটি পচাগলা, শরীরের জায়গায় জায়গায় চামড়া উঠে গেছে। পরনে কোন কাপড় ছিলো না। দেকে চেনার উপায় নেই। তবে, শনাক্ত করার মতো আছে মাথায় ঝাকড়া চুল, বাম কানে দুল এবং ডান হাতে সাধু বালা।
এই বর্ণনা শুনে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নেছার আহমেদ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বলে জানান কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন। তিনি বলেন, নেছার আহমেদ মনে করছেন তার ছেলে মনির আহমেদ অন্তুর মরদেহ এটি। নেছার আহমেদ বলেছেন তার ছেলে ভেড়ামারা পদ্মাপাড়ের সোলেমান শাহ মাজারে এসেছিলেন। রবিবার পর্যন্ত তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। এরপর আর ফোন খোলা পাননি। নেছার আহমেদ ঢাকার সেগুনবাগিচায় বসবাস করেন।
ইশ্বরদির লক্ষ্মীপুর নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক সন্ধ্যা ৬টার দিকে কে বলেন, মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছি। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হবে। যার মরদেহ ধারণা করা হচ্ছে তার পরিবারের সদস্যরা এসে দেখলে পরিস্কার হওয়া যাবে।