
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকারে কৃষিবান্ধব সরকার। তিনি বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে কাঁচি দিয়ে শস্য কাটার তুলনায় অল্প সময় ও কম খরচে ধান ও গম কাটা যায়। ফলে সময় ও কায়িক শ্রম লাঘব হয়। আর কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে গোটা বাংলাদেশ। আর তা কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কারনে।
মঙ্গলবার মিরপুরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরো ধান কর্তণ উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, লেবারেরও অশান্তি, বৃষ্টিবাদল। ভবিষ্যতে এই মেশিনটা থাকলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন এবং কৃষকরা আরও আগ্রহী হবেন ধান উৎপাদন করতে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন মুজিব শতবর্ষের কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষক যে অর্ধেক দামে কম্বাইন্ড হারভেস্টার পাচ্ছে এর ফলে বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি নানাভাবে উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন কৃষিতে যান্ত্রীকরণের ফলে শ্রমিক কম লাগবে ও কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হবে।
তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কৃষি কাজে ব্যবহৃত বাড়তি শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি, ক্ষুদ্র, মাঝারি, ও ভারিশিল্প খাত সহ অন্যান্য উন্নয়ন খাতে ব্যবহার করতে হবে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষের সঞ্চালনায় বোরো ধান কর্তণ উৎসবে
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো: খাইরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন. জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (শস্য) ড. হায়াত মাহমুদ, মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দারসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা।