
কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে আরেক স্কুল ছাত্র। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ছাত্র-ছাত্রী দু’জনেরই মৃত্যু হয়।
জানা যায়, মিরপুর রেল সেতুর উপর রবিবার বিকাল ৩.১৫ টার দিকে চিলাহাটি থেকে খুলনা গামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
এ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, মিরপুর পৌরসভার নওপাড়া গ্রামের আজিম আলীর ছেলে নাঈম আলী (১৬)।সে মিরপুর বর্ডার গার্ড স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র এবং চিথলিয়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের রবিউল শাহ’র মেয়ে রিতু (১৬)। সে মিরপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আরেক সহপাঠী সিয়াম সাংবাদিকদের জানায়, তারা তিনজনই মিরপুর বাজারের পাশের স্থানীয় এক কোচিং সেন্টারে পড়তে এসেছিল। কোচিং শুরু হতে দেরি হওয়ায় তিনজন রেললাইনের হাঁটছিল। হাঁটতে হাঁটতে মিরপুর রেলব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় চলে যায়। ওই সময় ট্রেন আসতে দেখে। এ সময় সিয়াম লাফ দিয়ে ব্রিজের গার্ডারে গিয়ে দাঁড়ায়। ঋতু ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। নাঈম ঋতুকে কোলে তুলে দৌড়ে রেললাইন থেকে গার্ডারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনের নিচে পড়ে দুজনেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
পরে পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ এসে মহদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, জিআরপি) মনজের আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহত দুই জন রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছিল। জিকে সেচ প্রকল্পে রেলব্রিজের ওপর দিয়ে পার হওয়ার সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস দ্রুতগতি এগিয়ে আসছিল। ব্রিজের ওপরেই দুজন ট্রেনে কাটা পড়ে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।