
কুষ্টিয়া মিরপুরের কিশোরী তরুনী হত্যাকান্ড মামলার ৪ ঘন্টার মধ্যেই কিশোর ঘাতক আপন(১৭) কে গ্রেফতার ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
বৃহঃবার দুপুরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার জানান মিরপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে তরুনীর মরদেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ড মামলার মূল আসামী আপনকে বৃহঃবার ১৫ জুলাই রাত ২টায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে ।
আটককৃত আপন মিরপুর পৌরসভার কুরিপোল গ্রামের মিলন মিস্ত্রির ছেলে এবং আমলা সরকারী কলেজের ছাত্র। হত্যাকান্ডে ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন এ তরুনীর সাথে কলেজ ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে উক্ত তরুনী। বিয়ের বিষয়ে কলেজ ছাত্রের বাড়ীর লোকজন রাজী না হলে এবং তার অন্য নারীর সাথে আলাদা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে উক্ত তরুনীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে পথের কাটা পরিষ্কার করতে রাতের অন্ধকারে বাসা থেকে কৌশলে ডেকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং ছুরি দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, গত বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ভাঙ্গা বটতলার কাছে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ঐ তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুনীর নাম উম্মে ফাতেমা (১৫) মিরপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলামের কন্যা । উম্মে ফাতেমা বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এণ্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।