
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে ৯ হাজার ৪শ’৬৭ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আহম্মেদ আলী বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র সতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ২ হাজার ৬শ’৫১, বিএনপির প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু ৪শ’৮৮, ইসলামী আন্দোলনের আবু হুরাইরা ২শ’৩০ ও সতন্ত্র আনারুল ইসলাম ৫৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জোর পূর্বক এজেন্ট বের করে দেয়া ও ভোট মেরে নেওয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন পরাজিত ৪ প্রার্থী। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ৯টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মত ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হয়।
পৌরসভার মোট ভোটার ২০ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৭৬০ ও নারী ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৫৯৭ জন। নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন,১ নং ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন,২ নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ডে সামিউল ইসলাম,৪ নং ওয়ার্ডে আছেল উদ্দীন, ৫নং ওয়ার্ডে আতিয়ার রহমান, ৬নং ওয়ার্ডে নাসির উদ্দীন, ৭নং ওয়ার্ডে মকসেদ আলী, ৮নং ওয়ার্ডে হাফিজুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডে রাশিদুল ইসলাম। এবং সংরক্ষিত ১২৩ নং ফিরোজা খাতুন, ৪৫৬ নং ওয়ার্ডে ঝর্না খাতুন ও ৭৮৯ নং ওয়ার্ডে সাজেদা খাতুন নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ৫জন মেয়র সহ ৫২জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নেয়।
৩ প্রার্থীর ভোট বর্জন
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী বর্জন করেছেন। এরা হলেন-বিএনপির মনোনিত মেয়র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু,স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মনোনিত মেয়র প্রার্থী আবু হুরাইরা।
আজ শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে ভোট বর্জন করেন। তাদের অভিযোগ আওয়ামলীগের মনোনিত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজন ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই নির্বাচন কাজে নিয়োজিত এজেন্ট ও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধাগ্রস্থ করছেন। এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকা দেখা গেছে। সেই সাথে আওয়ালীলীগের প্রার্থীর লোকজন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে অন্যের ভোট এভিএমের বাটুনে কৌশলে মেরে নিচ্ছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তবে তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ভোট বর্জনের লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনক ড.মুনসুর আলম খান ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে বলেন, ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর শুনে সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে তৎপরতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এবং ভোট শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে।