
নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের বাগগাড়ীপুল বিলের এলাকার কৃষক গোলজার হোসেন মাল্টা ফলসহ সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এ ধরনের ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক গোলজার হোসেন জানান, প্রবাসী জীবন শেষ করে ১০বছর আগে দেশে ফিরে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন। প্রথমে স্বল্প পরিসরে কৃষি কাজ শুরু করে সফলতা পেয়ে ক্রমাম্বয়ে তিনি কৃষি উৎপাদন সম্প্রারণ করতে থাকেন। বর্তমানে মাল্টা ফলসহ ফসলে ভরা তার কৃষি জমির পরিমান প্রায় পাঁচশত বিঘা। এর মধ্যে ২৪ বিঘা জমিতে মাল্টা, পেয়ারা ও কলা বাগান রয়েছে। যা থেকে দুই বছর ধরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন। তার রয়েছে মাল্টার বাগান, পেয়ারা বাগান, কলা বাগান এবং স্বল্প পরিসরে চাষ করেছেন আঙ্গুর চাষ। ফল ও ফসল উৎপাদন করে সফলতা দেখিয়েছেন গোলজার হোসেন নামে এক কৃষক। মাল্টা, কমলা, পেয়ারা কলা আঙ্গুর সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল লাভজনক হওয়ায় গোলজার হোসেনের দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন।
দর্শনার্থী প্রদীপ সরকার বলেন, কৃষক গোলজার হোসেনের মাল্টা, পেয়ারা ও কলা বাগান দেখতে অনেকে ভীড় জামাচ্ছে। নতুন বাগান করতে আগ্রহীরা মাল্টার বাগান করার জন্য গোলজার হোসেন সাথে পরামার্শ নিচ্ছে। দিন দিন মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
ভেড়ামারা উপজেলার কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারা উপজেলায় ১২ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করছে। এখানকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী ও অধিক লাভজনক হওয়ায় বেকার যুবক থেকে শুরু করে সব বয়সীরা মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। একবার মাল্টা গাছের চারা রোপনের পর মাল্টা গাছে ফল ধরতে শুরু করলে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না। প্রতি বিঘা জমিতে মাল্টা চাষে খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকার মত, যা পরবর্তী দেড় বা দুই বছরের মধ্যে মাল্টা বিক্রয় করে লাভ হয় দ্বিগুন বা তারও বেশী । যা অন্যান্য ফসল বা ফলের চেয়ে অধিক লাভজনক। শুধু তাই-ই নয়, পুষ্টিগুনে ভরা ও চাহিদা সম্পন্ন অধিক লাভজনক হওয়ায় মাল্টা চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিসহ সব ধরণের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ। মাল্টা চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। আর এমনটাই মনে করেন অঞ্চলের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ভেড়ামারার সফল কৃষক গোলজার হোসেনের মত আরো যারা আছেন তাদের মত কৃষি কাজে উৎসাহিত হলে দেশ হবে কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর।