
কুষ্টিয়ার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ সিপিসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের নাম কাজী সোহান শরিফ (৪৪)। সে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হামিদ মোল্লার ছেলে। এই সোহান শরিফ কুষ্টিয়ার আলোচিত শীর্ষ চরমপন্থী নেতার নিকট আত্মীয়।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামির নাম খন্দকার আশিকুর রহমান জুয়েল (৪০)। সে পার্শ^বর্তী কুঠিপাড়া এলাকার মৃত খন্দকার হারুন উর রশিদের ছেলে। থানাপাড়ার সন্ত্রাসী সবুজের সহযোগী ছিলো এই জুয়েল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাবনা নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
অন্যদিকে কাজী সোহান শরিফ নামে ওই কথিত সাংবাদিক পরিচয় বহন করতো। প্রকৃতপক্ষে ওই কথিত সাংবাদিকের কোন পত্রিকার নিয়োগপত্র এবং পত্রিকার পরিচয়পত্র আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাশাপাশি কথিত সাংবাদিক পিবিএ ফটো বাংলা এজেন্সির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতেন। যা তার ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত একটি পরিচয়পত্র তার কাছে থেকে পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়া শহরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কাজী সোহান সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করলেও সে স্থানীয় বা জাতীয় বড় কোন গণমাধ্যমের সাথে জড়িত কাজ করেন নি। বিভিন্ন ভুঁইফোড় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার নাম পরিচয় দিয়ে চলতেন বলেও জানা গেছে।
এই দুই আসামীর পাশাপাশি হত্যাকান্ডের সাথে আরও আসামী রয়েছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ধারনা। কারণ এতবড় হত্যাকান্ড শুধুমাত্র দুই জনের দ্বারা সম্ভব নয়। সেই সকল আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি যারা পেছনের কলকাঠি নেড়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।