
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভেঙ্গে পড়েছে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা। রোস্টার অনুযায়ী সিনিয়র চিকিৎসকরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদান না করায় গত ১২ ঘন্টায় ৭জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গত দেড় বছর ধরে ডাঃ মুসা কবীর ,ডঃ তাপস কুমার সরকার ও ডাক্তার নাসিমুল বারী বাপ্পির নেতৃত্বে তরুণ চিকিৎসকদের যে টিম ছিল তা ভেঙ্গে বর্তমান হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন নতুন রোস্টার তৈরি করেছেন।
এখানে সিনিয়র চিকিৎসকদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ডাক্তার মুসা কবীর ১৫ দিন পর করোনা ওয়ার্ডে যেতে পারবেন। ডঃ তাপস কুমার সরকার ও ডাক্তার নাসিমুল বারী বাপ্পির নাম নেই এই নতুন তালিকায়। নতুন তালিকার প্রধান ডাঃ সালেক মাসুদ নিজেই কখনো করোনা ওয়ার্ডে জাননা।
সিনিয়র চিকিৎসকগণ ঘরে বসে নার্সের মুখে শুনে অন্ধকারে ঢিল মারার মত প্রেসক্রিপশন করছেন। রোগীর বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ না করে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো এ চিকিৎসা কাজে আসছে না করোনা রোগীদের। রোগীর বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ না করায় এই রোগী রেফার করতে হবে নাকি এখানেই চিকিৎসা হবে এবং সেই চিকিৎসা কিভাবে হবে তা সরেজমিনে না গেলে বুঝা যাবে না।
এদিকে কুষ্টিয়ায় ধেয়ে আসছে করোনা। সীমান্ত এলাকা দৌলতপুরে টেস্ট করলেই মিলছে করোনা। কুষ্টিয়া শহরেও একই অবস্থা। যত বেশি টেস্ট করা যাচ্ছে ততবেশি করোনা পজিটিভ রোগী বেরিয়ে আসছে। টেস্ট না করার কারণে অনেক করোনা রোগী সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাভাবিক চলাফেরা করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যে কারণে কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করে করোনা প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ১২ ঘন্টায় ৭ জন এবং ২৪ ঘন্টায় ৮ জন করোনা রোগীর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।